খুড়োর কল

কল করেছেন আজব রকম চণ্ডীদাসের খুড়ো-
সবাই শুনে সাবাস্‌ বলে পাড়ার ছেলে বুড়ো ।
খুড়োর যখন অল্প বয়স- বছর খানেক হবে-
উঠ্‌ল কেঁদে 'গুংগা' বলে ভীষণ অট্টরবে ।
আর সবাই 'মামা' 'গাগা' আবোল তাবোল বকে,
খুড়োর মুখে 'গুংগা' শুনে চম্‌‌কে গেল লোকে ।
বল্‌‌লে সবাই, "এই ছেলেটা বাঁচলে পরে তবে,
বুদ্ধি জোরে এ সংসারেতে একটা কিছু হবে ।"
সেই খুড়ো আজ কল করেছেন আপন বুদ্ধি বলে,
পাঁচ ঘণ্টার রাস্তা যাবে তিন ঘণ্টায় চলে ।
দেখে এলাম কলটি অতি সহজ এবং সোজা,
ঘণ্টা পাঁচেক ঘাটলে পরে আপনি যাবে বোঝা ।
বল্‌ব কি আর কলের ফিকির, বলতে না পাই ভাষা,
ঘাড়ের সঙ্গে যন্ত্র জুড়ে এক্কেবারে খাসা ।

সামনে তাহার খাদ্য ঝোলে যার যে রকম রুচি-
মণ্ডা মিঠাই চপ্‌ কাট্‌‌লেট্‌‌ খাজা কিংবা লুচি ।
মন বলে তায় 'খাব খাব', মুখ চলে তায় খেতে,
মুখের সঙ্গে খাবার ছোটে পাল্লা দিয়ে মেতে ।
এমনি ক'রে লোভের টানে খাবার পানে চেয়ে,
উৎসাহেতে হুঁস্‌ রবে না চল্‌‌বে কেবল ধেয়ে ।
হেসে খেলে দু'দশ যোজন চলবে বিনা ক্লেশে,
খাবার গন্ধে পাগল হ'য়ে জিভের জলে ভেসে।
সবাই বলে সমস্বরে ছেলে জোয়ান বুড়ো,
অতুল কীর্তি রাখল ভবে চণ্ডীদাসের খুড়ো ।
এই লেখাটি বার পড়া হয়েছে