পরিবেষণ
পরি'পূর্বক 'বিষ'ধাতু তাহে 'অনট্' ব'সে তবে ঘটায় পরিবেষণ, লেখে অমরকোষে । -অর্থাৎ ভোজের ভাণ্ড হাতে লয়ে মেলা ডেলা ডেলা ভাগ করি পাতে পাতে ফেলা । এই দিকে এস তবে লয়ে ভোজভাণ্ড সমুখে চাহিয়া দেখ কি ভীষণ কাণ্ড । কেহ কহে "দৈ আন" কেহ হাঁকে "লুচি" কেহ কাঁদে শূন্য মুখে পাতখানি মুছি । হোথা দেখি দুই প্রভু পাত্র লয়ে হাতে ![]() | হাতাহাতি গুঁতাগুঁতি দ্বন্দরণে মাতে । কেবা শোনে কার কথা সকলেই কর্তা- অনাহারে কতধারে হল প্রাণ হত্যা । কোন প্রভু হস্তিদেহ ভুঁড়িখানা ভারি ঊর্ধ্ব হতে থপ্ করি খাদ্য দেন ছাড়ি । কোন চাচা অন্ধপ্রায় ('মাইনাস কুড়ি') ছড়ায় ছোলার ডাল পথঘাট জুড়ি । মাতব্বর বৃদ্ধ যায় মুদি চক্ষু দুটি, "কারো কিছু চাই" বলি তড়বড় ছুটি- বীরোচিত ধীর পদে এসে দেখি ত্রস্তে- ওই দিকে খালি পাত, চল হাঁড়ি হস্তে । তবে দেখ, খাদ্য দিতে অতিথির থালে দৈবাৎ না ঢোকে কভু যেন নিজ গালে । ছুটোনাকো ওরকম মিছে খালি হাতে দিও না মাছের মুড়া নিরামিষ পাতে । অযথা আক্রোশে কিবা অন্যায় আদরে ঢেলো না অম্বল কারো নূতন চাদরে । বোকাবৎ দন্তপাটি করিয়া বাহির করোনাকো অকারণ কৃতিত্ব জাহির । |